তোকে ভালোবাসি বলে

সালমা আক্তার প্রিয়া

পর্ব :- ৯ 

অন্যদিকে...চট্টগ্রামে,,

চেয়ারে বসা লোকটি নিজের কপালে gun গসছে।রাগে চোখ গুলো ভয়ংকর ভাবে লাল হয়ে আছে। মনে হয় চোখের তাকানোতে সব কিছু আগুনে ছারখার করে ফলবে।কপালের,গাড়ের ও হাতের রগ গুলো স্পষ্ট ফুলে উঠছে।মাথার চুলগুলো খাড়া হয়ে রয়েছে।দেখতে কোনো হিংস্র পশু থেকে কম লাগছে না।যা মুহূর্তে যে কাউর কাল হয়ে যেতে পারে। যা কিছুখন আগে এই লোকের সাথে হয়েছে। মাটিতে  রক্তত অবস্থায় লাশটি পরে আছে। যা নিজের হাতে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে।তাও নিজের রাগ control করতে পারছে না লোকটি। লোকটির রাগ দেখে তার চারপাশে যে লোক গুলো দাঁড়িয়ে আছে। সবাই ভয়ে ঘেমে এককের হয়ে আছে। ভয়ে মুখ দিয়ে কাউর কথা বের হচ্ছে না।যদি ২য় গুলি তার নামের হয়। তাই মাথা নিচু করে চুপ করে থাকা ভালো। লোকটি এখন ও রাগে ফুসছে। দাতে দাত চেপে নিজের রাগ কোনো মত control করে তার লোকগুলোকে উদ্দেশ্য করে বললো:- তাদের কোনো খোজ খবর পেয়েছ? 

এতখন দরে যে লোক গুলো দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে থেকে একজন  ভয়ে কোনো মতো সাহস করে বললো:- না স্যার,খোঁজ এখন ও চলছে। মাথা নিচু করে কথা গুলো ভয়ে এক সাথে বললো। 

লোকটি-রাগে চেয়ার থেকে উঠে। এক লাথি দিয়ে চেয়ারটি ফেলে দিল।রাগে হুংকার দিয়ে ২ বছর হয়ে গেছে এখন ও তোরা পাচ্ছিস না।তোদের কি করতে রেখেছি আমি।

লোক গুলো:- সরি স্যার আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। But তাদের কোনো খোজ পাচ্ছি না।ভয়ে কথা গুলো বললো।

লোকটি:- রাগে দাতে দাত চেপে যা আমার চোখের সামনে থেকে নাতো একটা ও বাঁচবি না।আর এই লাশটির বেবস্তা কর যাতে কাক-পচছি ও টের না পায়।এই রুমে কিছু হয়নি এমন জেনো মনে হয়।নাতো  ভালো করে জানোস আমি কে আর তোদের সাথে কি করতে পারি।

লোকগুলো:- ভয়ে yes sir, এই সবাই কাজ কর।

লোকগুলো চলে যাওয়ার পর।জানালার পাশে দাড়িয়ে রয়েছে। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে সাথে আছে তুমুল তুফান যা ভিতর তুফানের তুলনায় কম।বৃষ্টির পানি গুলো শরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে।লোকটির  চোখ কোনা দিয়ে হঠাৎ পানি গরিয়ে পরছে।

(শুনছি ছেলেরা নাকি কাদেঁ না সহজে।বেশি কষ্ট না হলে।) 

লোকটি:- ২ বছর প্রিয়া,২ বছর দূরে আমি তোমাকে পাগলের মতো সব জায়গায় খুজছি।তুমি কোথায় প্রিয়া।তুমি কোথায় আমার মনমূয়রী। কেন তুমি দূর চলে গেছ। একবার শুধু একবার আমার কথাটা শুনতে। সব কিছু explain করার সময় তো দিতে।আমার কোনো দোষ নেই damet জোরে দেয়ালে ঘুসি দিয়ে। আমি তোমাকে কোথায় কোথায় না খুঁজেছি এই ২ বছর।যে জায়গায় তোমার খবর পেয়েছি ছুটে চলে এসেছি। কিন্তু প্রতিটি বার বিফল হয়ে খালি হাতে ফেরেছি।

সবাই বলে তুমি মারা গেছ তুমি আর ফিরে আসবে না। কিন্তু আমি জানি তুমি বেঁচে আছ।কারণ তুমি আমার অস্তিত্বর ও নিশ্বাস সাথে মিশে আছ,তোমার কিছু হলে আমি বেঁচে থাকতাম না। আমি জানি তুমি নিজেকে আমার কাছে থেকে লুকিয়ে রেখেছ।কিন্তু আর না আমি খুব তারাতাড়ি আমার কাছে ফিরিয়ে আনবো মনমুয়ূরী।

that's my promised তুমি ভালো করে জানো আমি কোনো দিন আমার promised break করি না।

(এতখন দরে যার কথা শুনলেন,তাহলে এখন তার পরিচয় জানা যাক, সে হলো আমাদের গল্পের নায়ক নাম:-সজিব খান, বিশ্বের ধনি ব্যবসায়দের মধ্যে ১ জন আশিফ খান ও মিসেস তাসলিমা খান এর একমাত্র ছেলে সজিব খান আর খান ইমপাইয়ার এর একমাএ ওয়ারিস। কিন্তু এর বাইরে সজিব এর আর একটা পরিচয় আছে যা কেউ জানে না তাহলো সে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাফিয়া গ্যাং এর  ব্ল্যাক টাইগার গ্রুপের কিং।তার পরিচয় তো জানা হলো এবার দেখতে কেমন জানা যাক,,জিম করা বডি,গায়ের রং ফর্সা, চোখ ব্রওন কালার,গালে খুচা খুচা দাড়ি যা ফর্সা চেহারায় অনেক মানায়, ঠোট baby pinks,লম্বা ৬ ফিট ৩ ইঞ্চি,চুল কালো spike করা,সবদিক থেকে crush) 


এদিকে.... 

প্রিয়া বৃষ্টি থেমে গেছে কিন্তু জড়ো হাওয়া এখন আছে।প্রিয়া ঘরে এসে fresh হয়ে ১ মগ কফি নিয়ে বেলকনিতে দোলনায় বসে একদেয়ান এ বাহিরে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ প্রিয়ার ফোন বেজে উঠল। 

hello,আসসালামু আলাইকুম 

অন্য পাশে- 

-হুম, আচ্ছা।

অন্য পাশে-

-ভালো করেছ।সব সময় update দিতে থেক। 

অন্য পাশে- 

- আমার জন্য tension করতে হবে না। তুমি নিজের  প্রতি খেয়াল রেখো। বাকি আমি সমালিয়ে নিব।আর সবধানে থেক। 

অন্য পাশে..... 

-আচ্ছা, খুদাহ হাফেজ।কথা শেষ করে।

কফি কাপ tea টেবিলে রেখে। কি ভাবেছ আমি তোমার খবর রাখিনা।আমি তোমার প্রতিটি movement এর খবর রাখি।

বলে না enemy কে কখন কম বুঝতে নেই। সব সময় তার থেকে এক কদম আগে থাকতে হয়।তো আমি কি ভাবে পিছনে থাকি।আর তুমি ও আরালে থেকে যে আমাদের সাথে এসব করেছে আমি কাউকে ছারব না।আমি এর প্রতিশোধ নিব।এত সহজে আমার খুঁজ কখনো  পাবে না তোমরা চারদিকে নিরবতা। 

হঠাৎ ফযরের আযানের ধ্বনি কানে আসছে।ওযু করে নামাজ পরে ঘুমিয়ে পরলাম।


সকালে

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- প্রিয়া এই প্রিয়া উঠ সকাল হয়ে গেছে নাস্তা করবিনা।ঘা হাত দিতে দেখে প্রিয়ার অনেক জ্বর।ভয় পেয়ে গেল। এই  মেয়ে তোর তো দেখি অনেক জ্বর ডক্টর কে ডাকতে হবে।

প্রিয়া:- চোখ হালকা খুলে,না মা ডক্টর কে ডাকতে হবে না ঔষধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। জ্বরে ভালো ভাবে চোখ ও খুলতে পারছি না। গলা ও বেথা অনেক কষ্টে কথা গুলো বললাম। 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- মিথ্যা আমাকে বলিস না।আমি এখনি ডক্টর কাছে call দিতাসি। 

প্রিয়া:- না মা..... 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী:- চুপ তোর এক কথা বলবি না।আমি তোর কোনো কথা শুনবো না। 

কিছুখন পর.....

ডক্টর এসে চেক-আপ করার পর.. 

ডক্টর :- মনে হয় অনেক খন পানিতে ভিজেছে তাই জ্বর এসে পরছে। ডক্টর কথা শুনে প্রিয়ার মার বুঝতে বাকি নেই যে কাল  প্রিয়া বৃষ্টিতে ভিজেছে। চোখ রাঙিয়ে প্রিয়ার দিকে তাকলো। 

প্রিয়া মাকে এভাবে তাকাতে দেখে বড় সর একটা ডোক গিলে।ভালো করে জানে আজ আর নিসতার নেই মার হাতে।তাই জোর পূর্বক হাসি দিল।যদি মার মন গলে।কিন্তু এইটা কোনো কাজে দিবে মার face expression দেখে মনে হয় না। 

ডক্টর:- একটি ইনজেকশন দিতে হবে।যার জন্য প্রিয়া ঘুমাতে পারবে।

প্রিয়া:- না আমি ইনজেকশন দিবো না।কাননা করতে করতে। 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- চুপ একটা কথা ও না  ইনজেকশন দিতে হবে। 

প্রিয়া:- দিবো না এ্যা.... এ্যা... 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- এই মেয়ে চুপ কর।এত বড় হয়ে গেছে।একটা ছোট ইনজেকশন দিতে ভয় পাই।ডক্টর আপনি দিনতো।

প্রিয়া আর ও জোরে এ্যা.... এ্যা

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- এ মেয়েকে নিয়ে আমি আর পারি না।আমি দরছি ওর হাত আপনি ইনজেকশন দেন। 

ডক্টর ও প্রিয়ার মা মিলে অনেক কষ্টে প্রিয়াকে ইনজেকশন দিলো।

ডক্টর :- ইনজেকশনের জন্য প্রিয়া কিছু ঘন্টা ঘুমাবে।এখন আর কোনো সমস্যা নেই। ঘুম থেকে উঠলে এই ঔষধ গুলো খাওয়াবেন,ইনশাআল্লাহ জ্বর চলে যাবে। এই বলে ডক্টর চলে গেলেন। 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- রেস্ট নে। 

প্রিয়া:- হু মুখ ফুলিয়ে। মনে মনে ডক্টর বাচ্চা ডক্টর তোরে আমি পায়া নেই। আমাকে ইনজেকশন দেওয়া তাই না। তোর ইনজেকশন দেওয়ার সাদ আমি মিটাব।এমন ভাবে আমি তোকে ইনজেকশন দেওয়া শিখাব যে সারা জীবন মনে রাখবি হনুমানের ৩ নং বাচ্চা। কথা গুলো বলতে বলতে ঘুমিয়ে গেল। ১২ টা.... প্রিয়া ঘুম থেকে উঠার পর প্রিয়ার মা সুপ প্রিয়াকে খাওয়া দেওয়ার পর ঔষধ দিল।এখন আর অল্প রেস্ট নে। 

 

দুপুর ২ টা..... 


প্রিয়া ready হচ্ছে practice করতে যাবে বলে।প্রিয়ার মা প্রিয়াকে দেখে রেগে যায়। 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- (অনেকটা রেগে)এগুলো কি হচ্ছে প্রিয়া।তোর যে শরীর ভাল না তা কি ভুলে গেছ।আর তৈরি হয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি।

প্রিয়া:- মা cool down এত হাইপার হতে হবে না।আমি এখন পুরো সুস্থ আছি। তুমি টেনশন করো না। আর  আমি Campus practice করতে যাচ্ছি। কিছুদিন পর competitiion 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- তোর এসব নিয়ে এত ভাবতে হবে না। আমি জানতাম তুই এইগুলো করবি।তাই আমি তোর teachers এর সাথে কথা বলেছি। যে এই কয়েটি দিন আমাদের বাড়িতে practice করবি সবাই মিলে।আর বাকি রইল তোর friends তাদের সবাইকে বিকালে বাড়িতে আসতে বলেছি practiceকরার জন্য। এখন তুই lunch করে ঔষধ খেয়ে রেস্ট নে।

প্রিয়া:- I love you ma,you are the best mom in the world's . Thank youমাকে জরিয়ে দরে টাইট পাপি দিলাম।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- হয়েছে হয়েছে আর পাম দিতে হবে না। এখন রেস্ট নে। পাগলি মেয়ে আমার। এ কথা বলে প্রিয়ার মা চলে গেল।


চলবে...........