তোকে ভালোবাসি বলে

সালাম আক্তার প্রিয়া

পর্ব :- ১০ 


বিকালে 

সবাই প্রিয়াদের বাড়িতে এসে হইহুললা আরম্ভ করে দিয়েছে।প্রিয়া সবার আওয়াজ শুনে room থেকে বের হয়ে আসে। এসে দেখে সবাই তাদের drawing-room বসে আছে।

প্রিয়া :- Hi কেমন আছিস তোরা। কানিজ প্রিয়াকে দেখে তার কাছে এগিয়ে আসে।

কানিজ :- শুনলাম তোর শরীর ভালো না জ্বর আসছে। এখন কি অবসথা?(অনেকটা চিন্তিত হয়ে) 

প্রিয়া :-  এত টেনসন করিস কেন মাএ জ্বর তো আসছে। কমে গেছে tensionএর কোনো কারন নেই।আমি এখন ঠিক আছি। (প্রিয়ার কথা গুলো শুনে কানিজ আর ও রেগে গেলো। বলেকি এ মেয়ে টেনশনের কারন না। প্রিয়ার জ্বর কথা  শুনে মনে হয়েছে তার দোম বন্ধ হয়ে আসার  উপক্রম  নিজের নিশাস নিতে  কত কস্ট হয়েছে।আর এ মেয়ে বলে টেনশনের কোনো কারন নাই মনে মনে)

কানিজ :- তোকে রাতে বৃষ্টিতে ভিজতে কে বলছিল। তোর কি কোনো দিন গেয়ান হবে না।তুই কি এখন ও খুকি রয়েছিস(অনেকটা রেগে)।

প্রিয়া তার মার দিকে অসহায় চাহনিতে তাকালো।মনে মনে মা তুমি কেন যে এই যমের কাছে বলস আমি রাতে বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে গেছি।এখন তো আমার নিস্তার নেই। মনে মনে বড় সর একটা ডোক গিললো।  

প্রিয়ার মা :-  প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে (আমার বাদে যদি কেউ যদ করতে পারে এখন তোকে শুদু কানিজ। আর খেয়াল রাখতে পারবে। আমি জানি কানিজ তোকে ভালোবাসে ওর চোখে তোর জন্য অসীম ভালোবাসা  দেখেছি। তুইতো তোর চোখে ঘৃনার চাদর মুরে নিয়েছিস।এখন তোর চোখে কাউর  ভালোবাসা দেখতে পাস না। ওই পারবে তোকে আগের  রূপে ফিরিয়ে আনতে।তার ভালোবাসার চাদরে মুরিয়ে রাখতে,পুরোনো তিতা সৃতি ভুলতে সাহায্য করতে।আমার ছোট চেস্টা তোকে সাভাবিক করার জন্য।) 

 

কানিজ :- কি হলো Answers me ধমক দিয়ে বললো। আর ওই দিক তাকিয়ে আবার কি দেখিস? প্রিয়া হঠাৎ  ধমক শুনে কেঁপে উঠল। 

প্রিয়া মিন মিন করে বললো বৃষ্টিতে ভিজের লোভ সামলাতে পারি নি। 

কানিজ :- তাই জ্বর বাজিয়ে ফেললাম তাই তো । তুই কবে বড় হবি  প্রিয়া। 

প্রিয়া :- আমিতো বড় আছি আর কত বড় হবো আর আামার হাইট ও ঠিক আছে।আর বড় হতে হলে তো বুড়ো হয়ে যাব। প্রিয়ার কথা শুনে কানিজ এর চোখ কোটার থেকে বের হওয়ার উপক্রম। এই মেয়ে কে বললাম কি আর এই মেয়ে বলে কি।এই serious কথার মধে ওর এসব ভাবনা আসে like seriously. প্রিয়া  কানিজকে হাবলার মতো নিজের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো ওই তোর আবার কি হলো। কানিজ :-  কানিজ নিজেকে সামলেনিয়ে। কই কিছু না তো। 

প্রিয়া :- এবারের মতো ছেরে দে না sorry আর হবে না। আর রাগ করিস না দোস্ত।  এই কান ধরে মাফ চাইছি। মাফ করে দেন  এই ছোট নিরীহ  খুকিকে। প্রিয়ার baby দের মতো cute face করে কথা বলে মাফ চাওয়া দেখে কানিজ বেশি খন রাগ করে থাকতে পারলো না। ফিক করে হেসে দিল। কানিজ এর হাসি দেখে প্রিয়া সহ সবাই হেসে দিল এত খন সবাই ওদের কান্ড কারখানা দেখছিল। নিশি, আশা,আকাশ,রবিন এগিয়ে আসলো প্রিয়া ও কানিজের কাছে। 

আশা :- জানু তোর জ্বর আসছে কথাটা শুনে আমি ভয় পাই গেসিলাম।তোকে সুস্থ দেখে এখন সব ঠিক আছে।এর আগের বার তো তোকে হসপিটালে...... আর বলতে পারলো না। প্রিয়া চোখ বড় বড় করে ফেললো। নিশি সহ বাকি সবাই তাকিয়ে রেয়েছে।

নিশি পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য বললো হসপিটাল থেকে ডক্টর দেখিয়ে ঔষধ আনতে হয়সে তাইনা ।মেকি হাসি দিয়ে।  ( আশা কথাটি কেন বললো কি রহস্য আছে তা সামনের পর্বে জানতে পারবেন।) 

আশা :- হ্যা হ্যা। 

আকাশ :- এখন কেমন লাগছে? 

প্রিয়া :- ভালো। 

নিশি :- জানিস কত ভয় পেয়ে গেছিলাম।? 

রবিন :- মিস off জান প্রিয়া অনেক brave girl তাই তার কিছু হবে না? তাই না প্রিয়া। 

নিশি :- তো আমি কি বলসি যে প্রিয়া weak girl।

 রবিন :-না। 

নিশি :- তাহলে এত বেশি বুঝ কেন?

রবিন :-হু, 

নিশি :- ফু, 

 রবিন :-থু, 

 নিশি :- ছি, 

হইসে হইসে তোদের আর আমাকে নিয়ে এত জগরা করতে হবে না আমি এখন সুস্থ আছি আল্লাহর রহমতে। কিন্তু আশা ও নিশির কথা কানিজ এর কাছে খটকা লাগলো,মনে হয় কোনো কথা তারা লোকালো।কিন্তু কেন? তা সবার সামনে প্রকাশ করলো না। 

কানিজ :- প্রিয়া তোমার যদি এখন ও weak লাগে তাহলে competion participate করতে হবে না, তোমার সুস্থ থেকে বড় কিছু না।

প্রিয়া :- আরে আরে কে বলসে আমি sick।  আমি একদম fit and fine আছি।আমি competion participate করব। 

কানিজ :- ঔষধ গুলোর কি? 

প্রিয়া :- promised আমি ঠিক মত নিব। 

কানিজ :-আমি যদি দেখি তুমি sick আছ। তাহলে তোমাকে participate করতে দিব না। full and final. 

প্রিয়া :- Okay মুখ ফুলিয়ে বললো। 

 প্রিয়ার মা :- হইসে তোমাদের সবার জগড়া।এখন কিছু নাস্তা করে নাও নাতো ঝগড়া করার জন্য energyকোথা থেকে  পাবে।তাই বাকি জগড়া পরে করো।

সবাই :- Okay সবাই নাস্তা করছে প্রিয়ার মা  প্রিয়াকে বললো প্রিয়া সবার নাস্তা হলে তোমার room নিয়ে যাও কথা বলো আমি দেখছি যেখানে তোমরা practice করবা সেখানে সব কিছু ঠিক ঠাক হইসে নাকি।

প্রিয়া :- Okay মা। সবার নাস্তা করা শেষে সবাই প্রিয়ার room  বসলো।

কানিজ প্রিয়ার room চোখ বোলালো room টা পুরা ঘুছানো।ফার্নিচারের একটা খাট,খাটের সাথে ছোট টেবিল,ডেসিংটেবিল,আলমারি, বুকসেলফ, সোপা।খাটের উপরের দেয়ালে প্রিয়ার তার মা -বাবার সাথে ছবি। তার খাটের মধে বেশ বড় টেডিবিয়ার পিংক কালার।একটা দেয়ালে অনেক গুলো ছবি লাগানো।  

এখন সবাই মিলে গান select করছি dance জন্য এবং stage যে গান গাইবে সেটা।সব কিছু final করার পর বিপত্তি ঘটলো নিশি আর রবিন কে নিয়ে। আশা +আকাশ   dance partner আমি আর কানিজ partner।রবিন ও নিশি  দুইজন patner হতে চইছে না। কারন এক জন ডান দিকে যাবে তো আর একজন বাম দিকে যাবে।ফাইনালি তাদের অনেক বুঝিয়ে patch up করানো হলো। আমরা সবাই আড্ডা দিছিলাম।হঠাৎ কানিজের call আসে

কানিজ :- hey guys আমার একটা important call আসছে। আমি call attend করে আসি। তোত খন তোরা বাকি কাজ গুলো discuss কর।

সবাই :- okay সবাই গল্প করছিল মধ্যে থেকে রবিন বলে উঠল প্রিয়াকে উদ্দেশ্য করে- দোস্ত  আমার মনে অনেক দুঃখ। 

প্রিয়া :- এক ব্রকুচকে কেনরে তোর আবার কিসের দুঃখ? 

রবিন :- আমার একটা gf নাই। তোদের জন্য একটা ভাবি খুঁজে দে না। 

নিশি :- ওইত তেরি আমাদের  flirting master gf নাই এই কথা বিশাস করা যায়। অবিশ্বাসনীয়।নিশি ভাব নিয়ে বললো 

রবিন :- ওই ছেমরি তুই খালি আমার কথাই বাম হাত ডুকাশ কেনরে। 

নিশি :- ওই তোরা দেখ চুস যে আমি রবিন এর কথায় বাম হাত ডুকাইসি আামর বাম হাতে তো ললিপোপ যে টা আমি খাচ্ছি। তাহলে কখন আমি তোর কথায় বাম হাত ডুকালাম।শাহাদাত আংগুলের সাথের আংগুল গালে দিয়ে ভাব নিয়ে।

রবিন :- ওই তুই এত কথা পেচাস কেনরে। 

নিশি :- আমি আবার কথা কখন পেচালাম কথা কি সুতা যা টুতায় কথা পেচা ব। 

রবিন :- ওই মেরি মা চুপ যা। মুযে মাফ কার মুযে ছোর দে।

নিশি :- আমি কাব তোযকো পাকরা হু যো আবি তোযক ছুরোগি। রবিন পারে না কেদে দেয় আমি আশা ও আকাশ হাসতে হাসতে শেষ যখন দেখলাম রবিন প্রায় কেঁদে দেয়।

প্রিয়া  :- থাম এখন। 

রবিন :- দোস্ত  তুই  আমার কথা বিশাস কর। 

প্রিয়া  :-বিশাস তাও তোকে যেমন আকাশ এক ঘন্টা বই পরবে না  বললে   বিশাস করা যায় না(কারন আকাশ বই পোকা ) তেমন।তোর এত গুলো gf থাকতে। gf এর অভাব পরলো এটা ভাবা বড় হাসসোকর বেপারা না। 

রবিন :- ওই গুলো সব Time pass যে আসে আর যায় আমার মনে দোয়ারে।কেউ আমার মনের দোয়ারে প্রবেশ করতে পারেনি। আর real love এখন আমার মনে ঘন্টা দেয়নি। 

আকাশ :- হাচাই। 

রবিন :- হুম baby দের মোত innocent face করে। 

প্রিয়া :- হইসে বুঝছি। যা তোর জন্য একটা gf খুঁজে  দেবো now happy?

রবিন :- yes 

আকাশ :- তুই রবিন এরজন্য যদি life partner  খুজে দেস। তাহলে আমি কি দোষ করছি। pretty মুখ ফুলিয়ে বললো। 

প্রিয়া :- একবার সবার দিকে তাকিয়ে একবার আকাশ দিকে তাকিয়ে আবক হয়ে। তোর আবার এসবের প্রতি বই বাদে প্রেম উতলিয়ে পরছে কি বেপার আজ সূর্য কোন দিয়ে উঠেছে মনু। 

নিশি :- যে দিক দিয়ে প্রতি দিন উঠে সে দিক দিয়ে উঠেছে।বাচ্চাদের মত গালে এক আংগুল দিয়ে কথা গুলো বললো।

প্রিয়া :- সেটা আমি ও জানি।সব  duffer দল নিয়া পরছি।

রবিন :- আরে তুই জানিস না ওই গাঁধিদের মধ্যে award প্রাপ্ত রানী।

নিশি :- ওই কি বললে তুমি। 

রবিন :- আমি আবার কি বলসি। আমি তো কিছুই বলি নাই।যদি তুমি কিছু শুনে থাকো নিজের বেপারে সত্য হতে পারে বলে শুনেছ। 

 নিশি :- কি। তোমার এত বর সাহস।

 রবিন :- আমার সাহসের কি দেখছ নিশি মনি।এখন ও অনেক কিছু  বাকি......….


চলবে.........