তোকে ভালোবাসি বলে

সালমা আক্তার প্রিয়া 

পর্ব :- ৭ 

তারপর সবার shopping শেষে মল থেকে বের হয়।প্রিয়া চোখ পরে রোডের সাইটে দোকানে।সেখানে চোখ আটকিয়ে যায়।

নিশি,আশা প্রিয়াকে ডাক দিতে এসে।

নিশি :- দোস্ত কি খিদাযে লাগছে চলনা কিছু খায়। আশা :-হুম, আমার ও লেগেছে।কিন্তু প্রিয়ার কোনো response না পাওয়ায়। ভালো মতো খেয়াল করে দেখে ওই দিকে তাকিয়ে আছে প্রিয়া।তাই নিশি ও আশা সে দিকে তাকিয়।তাকিয়ে হা হয়ে গেছে।কারন সামনে ফুচকার দোকান। 

বাকিরা ওদের কাছে এসে। 

আকাশ :- ওই তরা এদিকে কি করস চল।অনেক খুদা লাগছে কিছু খায়গা।তোরা খাবি না। 

আশা+নিশি+প্রিয়া :- তিন জন একসাথে বলে উঠলো ফুচকা। তিনজন তিনজনের দিকে তাকিয়ে(মুচকি হেঁসে) এক দৌড়ে ফুচকার দোকানে চলে গেলো। 

বাকি সবাই আবুলের মত তাকিয়ে আছে ওদের দিকে। 

প্রিয়া :- ভাইয়া ৭ পেলেট ফুচকা বানান medium জালে তারাতাড়ি। 

ফুচকাওয়ালা:- আচ্ছা। 

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- হাসছি দাঁড়িয়ে ওদের কান্ড দেখে।এখনো বাচ্চাদের মতো সভাব ওদের রয়ে গেছে।

কানিজ,আকাশ,রবীন আসলো ওদের কাছে। 

ফুচকাওয়ালা :- এনিন আপনার ৭ পেলেট ফুচকা। প্রিয়া :-ভাই আর ও ৫ পেলেট বানান। আকাশ,কানিজ,রবীন আবক হয়ে।

আকাশ :- এইগুলাতো এখনো ও খাওয়া হলো না।আবার আর্ডার দিলি এত গুলো কে খাবে?(চিন্তিত ভাব নিয়ে।)

নিশি :- ওই তুই off যা।ওই গুলো আমরা খাবো।

কানিজ :- কি (আবক হয়ে)। পাগল হয়েছিস নাকি।পেট খারাপ হবে।প্রিয়া এগুলো খাসনে। 

প্রিয়া :- (দোমক দিয়ে)ওই তোরা যদি মার খেতে না চাস চুপ চাপ খা।না খেতে চাইলে আমাদের সমস্যা নেই।আমাদের disturbed করবিনা।(মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে।) মার দিকে এক পেলেট দিয়ে।মা এটা তোমার। 

ফুচকাওয়ালা :- আপা এইনিন আপনাদের ৫ পেলেট ফুচকা। 

প্রিয়া :- আচ্ছা। তারপর সবাইর হাতে ফুচকার পেলেট দিয়ে।আমি,নিশি,আশা শুরু করে দিলাম।একের পর এক খেতে আছি। রবীন+আশা+কানিজ :-ওরা হা করে আছে। বেছারা একটা ফুচকা মাএ মুখে দিয়েছে।নিশি,আশা,প্রিয়ার ১ পেলেট শেষ।

রবীন :- হে আল্লাহ  কোন বুকখার গুলোকে খেতে নিয়ে এসেছি। ১টা মাএ ফুচকা মুখে দিলাম।এই মেডামরা ১ প্লেট শেষ করে ফলেছে।এ কেমন বিচার।(নেকামি কান্না করে।)

আশা :- ওই ছেমড়া off যা,না তো জাটা পিটা খাবি আমাদের হাতে বলে দিলাম। একথা শুনে বাকিরা হেঁসে দিলো। আর এইখানে বাকি ৫ প্লেট ফুচকা শেষ।প্রিয়া frist হয়সে।প্রিয়া জিতে সেই খুশি হয়ে সবার দিকে চোখ পরলো একটু লজ্জা পেলো।সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।ফুচকা খেতে এত বেস্ত ছিল যে কেউর দিকে খেয়াল ছিলনা।

আশা,নিশি ও প্রিয়া ওদের এই অবস্থা দেখে সবাই হা হা করে হেঁসে দিলো। প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):-হয়সে হয়সে আর এভাবে লজ্জা পেতে হবে না। 

তারপর যখন প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী) ফুচকাওয়ালাকে টাকা দওয়ার জন্য যেই বেগ থেকে টাকা বের করবে।হঠাৎ কে জেন বেগ নিয়ে দৌড়। এই বেপারটা প্রথমে কেউ না খেয়াল করে থাকলেও প্রিয়া খেয়াল করে।এবং চোরের পিছনে দৌড়।সবাই কিছু বুঝার আগে প্রিয়ার এইভাবে যাওয় সবাই হা হয়ে গেছে। কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। 

প্রিয়া :- যেই দেখলাম মার বেগ নিয়ে চোর দৌড় দিলো।চোরকে দরতে আমি চোর পিছনে দৌড় দিলাম। পিছন থেকে একটা লাথি দেওয়াই চোরটা পরে গেলো।দুই একটা গুসি দেওয়ায় বেগ দিয়ে দিল।চোরকে দরে দাড়া তোকে পুলিশে দিবো।

চুর :- Sorry আপু মাফ করে দেন আমাকে।আমি চোর না। হাত জোর করে কথা গুলো বলছে। আমার মা-বোন ২দিন দরে না খেয়ে রেয়েছে।আর মা খুব অসুস্থ।খাবার ও ঔষধের জন্য এ রকম করলাম।Please আপু please আমাকে পুলিশে দিবেন না। 

প্রিয়া :- ছেলেটার কথা শুনে।(ছেলেটার দিকে ভালো করে খেয়াল করে দেখেলাম।ছেলেটা ভালো family ছেলে দেখাচ্ছে।) তুমি চাকরি না করে চুরি করলে কেন? 

চোর :- Certificate কি হয়?গরিব বলে চাকরি পাইনি।চাকরি পেতে হলে কিছু ঘুস দিতে হয়।Schoolership মাধ্যমে পড়াশোনা করছি।আমি গরিব ছেলে কোথা থেকে এত টাকা পাবো।তাই চাকরি হয়নি। তাই না পারতিকে চুরি করলাম।(ছেলেটা মাথা নিচু করে কথা গুলো বললো।)

প্রিয়া :- এতখন ছেলের কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুন মনে হলো মিথ্যা কথা বলছে না, তাই বললাম। তুৃমি কি পর্যন্ত পড়াশোনা করছো? 

চোর ছেলে :- অনার্স কমপিলিট করছি। প্রিয়া :- এই কার্ডটা রাখ কাল এই office-এ যাবা তোমার চাকরি হয়ে যাবে।এই কিছু টাকা রাখো ঔষধ ও খাবার কিনে মা-বোন ও তুমি কিছু খেয়ে নিয়ো। চোর ছেলে :- না আপু আমার লাগবে না।  

প্রিয়া :- বেশি কথা না বলে রাখ।নিজের জন্য না হলে ও মা-বোনের জন্য।আর আমি তোমাকে এমনে টাকা দেইনি,তোমার salary থেকে দিসে। 

চোর ছেলে :-Thank you আপু। কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো তা বুঝিয়ে বলতে পারবো না।এটা বলবো আপনি আমার ওপর অনেক বড় উপকার করলেন।(কথা গুলো বলতে সময় চোখে জল এসে পড়েছে।)

প্রিয়া :- Thanks বলতে হবে না।মা ও বোনের খেয়াল রেখো।oh তোমার নাম তো জানা হলো না, তোমার নাম কি? 

চোর ছেলে :- আসিফ খান।

প্রিয়া :- ভালো নাম।আচ্ছা আসিফ আপনার সাথে কাল office দেখা হবে।খুদাহাফেস। 

আসিফ :- খুদাহাফেস আপু। যখন প্রিয়া দৌড় দিল সবাই আবক।চুরটাকে মেরা থেকে help করা পর্যন্ত সব দেখে সবাই তো হা হয়ে আছে।

আকাশ,কানিজ,রবীন জানতো না যে প্রিয়া এত ভালো মারপিট জানে। 

প্রিয়া :- মার কাছে এসে মা তোমার বেগ। প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- Well done my child,I am proud of you

প্রিয়া :- একটা হাসি দিয়ে Thank you ma

বাকি সবাই হাততালি দিচ্ছে। 

কানিজ :- এ মেয়েকে যেত দেখি তো তোই প্রেমে পরি।(মনে মনে)

আকাশ :- তুই এত ভালো মারপিট জানোস।

রবীন :- আমাদের একবার ও বলস নাই? উৎসাহিত হয়ে।

প্রিয়া :- এতখন খেয়াল করিনি ওদের।একটু ঘাবড়ে গিয়ে। হে জানি।

কানিজ :- তাহলে আমার কেউ জানতাম না?

নিশি :- কে বলসে আমার জানি না। আমি আর আশা জানি।

আশা :- হে আমি ও জানি। সেই কলেজ লাইফ থেকে প্রিয়া এই মার্সাল আর্ট,কুংফু  সব জানে ও প্রতি বছর Competition participate করে win হতো।

কানিজ+আকাশ+রবীন:- তাহলে আমাদের কোনো দিন বলস নেই কেন?একসাথে কথা গুলো বললো।(অভিমান শুরে।)

আশা,নিশি কিছু বলতে যাবে তার আগে প্রিয়া বললো।


প্রিয়া :- আচ্ছা হয়েছে সবাই এখন এ topic বাদদে চল বাসা যেতে হবে। কাল থেকে practices start করতে হবে। আর মাএ তিনদিন আছে Competition-এর।আজ বিস্রাম নেওয়া যাক।(কথা গুরানোর জন্য।) 

সবাই:- Okay চল।

তারপর আশা,নিশিকে বাড়িতে drop করে। কানিজ আমাকে ও মাকে বাড়িতে দিয়ে চলে গেল।

চলবে.........