তোকে ভালোবাসি বলে

সালমা আক্তার প্রিয়া

পর্ব :- ৬


কানিজ:-যাদের থেকে বাঁচার জন্য আমরা canteen-এর পিছনের দরজা দিয়ে ডুকেছি।তারাই দেখে ফেললো।

আকাশ :- বাবারে বাবা বাঁচা গেলো।এখন যদি ওই খান থেকে না পালাতাম।তাহলে হার্ট অ্যাটাক করতে হতো।

রবীন :-বুঝি না।ওই মেয়েরা আমাদের এই ভাবে harassment করে কি পাই।সব এসে একসাথে গিরে দরে। নিশ্বাস ও নিতে দেই না।

নিশি :- ওই সবাই শুন ভালো করে।এ কথা এই flirting master বলছে।যে মেয়েদের নিয়ে সারাখন flirting করে। আভক হওয়ার বেপার না।

রবীন :- ওই পেতনি তুই এত সব সময় বেশি বুঝিস কেনরে হু।(রেগে)

প্রিয়া :- হয়সে হয়সে তোদের জগড়া বাদদে।

আশা :-নিশি কিন্তু ঠিক কথা বলছে। 

আকাশ :- আমি ও এক মত।

কানিজ :- তোরা আবার শুরু হয়ে জাস না।কিন্তু আমি ও এক মত। হা হা করে সবাই হেঁসে দিলো।

রবীন :- রবীন মুখ ফুলিয়ে। আমার দিন আসবে। বাকিরা :- আসবে যে মাসে শুক্র বার নাই। আবার সবাই মিলে হা হা করে হেসে দিল।

প্রিয়া :- হয়সে, এখন বল তোরা Cox's Bazar থেকে আমাদের জন্য কি gift আনলি? 

আকাশ,রবীন,কানিজ :- গাড়ির বিতর থেকে gift বের করে। আশা,নিশি,প্রিয়াকে দিল। তিন জন gift দেখে অনেক খুশি হলো।

আশা+প্রিয়া+নিশি :- Thank you দোস্ত তিনজনকে বললো।

প্রিয়া :- Thanks কানিজ তুই ভালো করে জানিস আমি কি like করি।

কানিজ :- কেন জানবো না পাগলি?আমি তোর best friend না।(বাকিরা জানে যে কানিজ প্রিয়াকে friend থেকে বেশি ভাবে।কিন্তু কেউ বলে না।)

প্রিয়া :- শুন বিকেলে shopping যেতে হবে। তোরা আমার বাড়িতে আসিস।সেই খান থেকে সবাই একসাথে shopping-এ যাবো।

সবাই :- Okay

আশা :- ওই দিকে ice creamদেখ।চল সবাই ice creams খাই। তারপর আর কি করার সবাই মিলে ice cream খেলাম।আর বিল ফারলাম রবীনের নামে।বেছারা বিল দিলো। সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম।

 বাড়িতে

প্রিয়া :- মা মা কই চিৎকার করে।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):-কি হলো আসছি।এত চেচাচ্ছিস কেন?বল কি হয়েছে?

প্রিয়া :- খিদা লেগেছে খেতে দেও।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):-দেয়,তুই fresh হয়ে আয়।

প্রিয়া :-Okay,fresh হয়ে নামাজ পড়ে। খাবার টেবিলে বসে।খাবার খাওয়ার শেষে।মা আমি একটু rest নিবো।তুমি ৫ টার আগে তৈরি হয়ে নিও।৫ টায় সবাই একসাথে shopping করার জন্য বের হব।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):-আচ্ছা।

প্রিয়া :-তারপর room চলে এসে।একটু rest নিয়ে।কিছু office-এর কাজ ছিলো সেই গুলো laptop শেষ করলাম। কারন কিছু দিন Competition practice-এর জন্য কাজ গুলো করতে পারবো না।

কাজ শেষ করে ready হয়ে নিলাম।গুলাপি কালার কামিজ পরলাম,জামার সাথে মেচিং করে চুরি এক হাতে, একহাতে ঘড়ি পরলাম।হেজাব পরে,চোখে কাজল দিলাম,ঠোঁটে লিপ বাম দিলাম।(প্রিয়া ঠোঁট গুলো natural pink হওয়া lipstick মত দেখায়)একটু পরফিউম ready।

নিচে এসে দেখি দুই পেতনি,বাকি সাবই ও মা ready হয়ে বসে আছে।আমাকে দেখে সবাই দাড়িয়ে গেলো। কি হয়েছে এভাবে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছ কেন জানি আমাকে কোনো দিন দেখোনি?

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):-দেখেছি কিন্তু আজ আমার মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগছে তাই।(কানের পিছনে কাজল লাগিয়ে দিয়ে।) যাতে নজর না লাগে কেউর।

আশা :- শুধুমাএ ওকে সুন্দর লাগে।

নিশি :- আমাদের কি সুন্দর লাগে না। (আশা+নিশি মুখ ফুলিয়ে।) সবাই হেঁসে দিলো ওঁদের কথা শুনে।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):-কে বলসে আমার মেয়ে সুন্দর না?আমার তিন মেয়েকে সুন্দর লাগছে।তিনজনকে কাজল লাগিয়ে দিয়ে। 

কানিজ :- আর এদিকে কানিজ প্রিয়াকে দেখে পুরা হা হয়ে থমকে গেল।এই মেয়েকে simple look ও সাজে অনেক সুন্দর লাগে।চোখ ফিরানো যায় না।এ মেয়েকে যেত দেখি প্রেমে পরে যায়। 

প্রিয়া :- আচ্ছা হয়সে।এখন চলো সবাই বের হওয়া যাক। প্রিয়ার কথা শুনে কানিজ এর দেয়ান ভাঙ্গলো। 

সবাই :- হুম,চল। তারপর সবাই মিলে গাড়িতে উঠলাম।কানিজ drive করছে আমি ওর পাশে বসছি।মা,নিশি,আশা পিছনে একসাথে বসছে।অন্য গাড়িতে রবীন ও আকাশ আছে।সবাই Shopping মলে পৌছানোর পর। যার যার shopping করা start করে দিসে।

প্রিয়ার গুলো ওর মাও বাকি সবাই মিলে পছন্দ করছে।

কানিজ :-হঠাৎ একটা লাল শাড়িতে চোখ পড়লো। Simple কাজ করা কিন্তু অনেক সুন্দর।প্রিয়া পড়লে লাল পরী লাগবে।(এটা মনে মনে ভাবছি।) যখন আমি শাড়ি নিতে যাবো।তখন প্রিয়ার মা নিয়ে নিলো।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- প্রিয়ার শরীরে শাড়ি দিয়ে বলল।প্রিয়া তুই এই শাড়িটা performance পরবি।একদম পরী লাগবে। 

প্রিয়া :- মা তুমি ভালো করে জানো আমি শাড়ি পড়তে পরি না,তাই শাড়ি পরি না।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):-তো কি হয়েছে এবার পরবি।অনেক সুন্দর লাগবে।

প্রিয়া :- (বেশি তকাতকি করলাম না।)okay,পরবো।এইবার খুশি।

প্রিয়ার মা(তানিশা চৌধুরী):- হুম।

চলবে..................