তোকে ভালোবাসি বলে

সালমা আক্তার প্রিয়া
পর্ব :- ৪



নিশি +আশা :-(উৎসাহিত হয়ে)এক সাথে বলল yes
 প্রিয়া :- তাহলে বিকেলে ready থাকিস আমি তোদের Pick up করে নিবো।

নিশি+আশা :- Okay

প্রিয়া :- এখন চল class করে আসি।
নিশি,আশা :- Okay, চল।

তিনজন class করে canteen বসে আড্ডা দিচ্ছে।তখন হঠাৎ কে জেনো পিছোন থেকে প্রিয়ার চোখ দুটো দরে।
প্রিয়া :- হঠাৎ কে জেনো পিছোন থেকে চোখ দরায় একটু ঘাবড়ে গিয়ে,পরে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম।কেরে আমার চোখ দরসে।কোন হারামির হাড্ডিরে কার এত বড় সাহস আমার চোখ দরসে।একবার হাতের নাগালে পাই, হাত-পা ভেঙে দিব।(রেগে)  হাত দিয়ে দরার চেষ্টা করতে করতে।
হঠাৎ সবাইর হাসির শব্দ শুনে একটু থেমে গেলাম। চোখ থেকে হাত সরানোর পর দেখি রবিন ও আকাশ  সামনে দাড়িয়ে আছে।
ওদের দেখে খুশির সিমানা নাই।খুশিতে ওদের জরিয়ে দরলাম।পরে ছেড়ে দিয়ে। (অভিমানি সুরে)
হারামির দল এত দিন পর আমার কথা মনে পড়েছে।(মুখ ফুলিয়ে কথা গুলো বললো।) 

রবিন :- ওলে ওলে আমার ময়নাপাখিটা  রাগ করছে। এত রাগ করা ভালো না পাখিদের।
(ইনি হলেন মোঃইফতি খান রবিন। দেখতে চুল গুলো রঙিন কালার,ফর্সা,smart সব দিক থেকে crush খাওয়া যথেষ্ট সবার মধ্যে রবিন বেশি বদমাশ।ভার্সিটি 1 number flirting boy or play boy ইনি।)

আকাশ :- দোস্ত আমার কত ভালো রাগ করে না।(ইনি হলেন মোঃসাজ্জাদ হোসেন আকাশ।একদম ঠান্ডা সভাবের বই পড়াকু।দেখতে কালো চুল spike করা,হলুদে ফর্সা,crush খাওয়ার পাএ।কিন্তু কোনো মেয়েদের প্রতি interest ও মাথা বেথা নেই।সে বই ও friend এর সাথে আছে)

আকাশ+রবিন:-দুইজন এক সাথে কান দরে। sorry দোস্ত late করে আসার জন্য।canteen-এ সবার সামনে। ওদের কান্ড দেখে সবাই হাসছে।   

প্রিয়া :-হেসে হইসে হইসে মাফ করসি কান ছাড় এখন। 
আকাশ+রবিন :- thanks দোস্ত।(দুইজন একসঙ্গে বললো)
প্রিয়া :- welcome,প্রিয়া ওদিক সেদিক দেখছে। এটা বাকিরা খেয়াল করে বুঝতে পেরেছে প্রিয়া কাকে খুজছে। ওই তোরা যে আসলি কানিজ কোথায়।কানিজ তোদের সাথে গিয়েছিল?(প্রিয়া  একথা বলার শেষে )

কানিজ :- 
"Tere dar per sanam... 
Chale Aaye....... 
Tu Na Aaya To Hum..... 
Chale Aaye..... 
Chale Aaye... 
Chale Aaye... ........  

................

Tere dar per sanam... 
Chale Aaye....... 
Tu Na Aaya To Hum..... 
Chale Aaye..... 
Chale Aaye... 
Chale Aaye... .......................... 

............. 

Bin Tere Koi,..... 
Aas Bhi Na Rahi..... 
Itne Tarse ke..... 
Pyaas Bhi Na Rahi..... ........... 
........

Bin Tere Koi,..... 
Aas Bhi Na Rahi...... 
Itne Tarse ke..... 
Pyaas Bhi Na Rahi... ............ 
............

Itne Tarse ke..Pyass Bhi Na Rahi...... Ladkhadaay Kadam...... 
Chale Aaye...... 

Tu Na Aaya To Hum.... 
Chale Aaye.... 
Chale Aaye... 
Chale Aaye...
  
গান বলতে বলতে কানিজ প্রিয়ার সামনে এসে দাড়ালো। 
(ইনি হলেন মোঃরোয়ান মাহমুদ কানিজ।Campus-এর frist crush, জিম করা বডি,গায়ের রং ফর্সা,গালে খুচা খুচা দাড়ি যা ফর্সা চেহারায় অনেক মানায়,লম্বা ৬ ফিট ২ ইঞ্চি,চুল কালো spike করা,সবদিক থেকে সেই।আর প্রিয়ার best friend।আর হাসি খুশি মেজাজের।)
সবাই :- হা হয়ে আছে। 
প্রিয়া :- ও হা হয়ে আছে।
কানিজ :- প্রিয়ার সমনে চুটকি বাজিয়ে কি হলো?কই হারিয়ে গেলি?
প্রিয়া :- কানিজ এর কথায় দেয়ান আসলো।নিজেকে সামলিয়ে কই,তোর সাথে কথা নাই হু। 

কানিজ :-আরে এতো দেখি রেগে আছে।এদিক তাকা দোস্ত শুননা sorryyy কান দরে।
প্রিয়া :- মুখ ভেংচি কেটে , মুখ গুরিয়ে নিলোম।
 
কানিজ :- পকেট থেকে তেঁতুল এর আচার বের করে।তুই যখন মাফ করবি না।কি আর করার আছে তাহলে এই তেতুলের আচার গুলো নিশিকে দিয়ে দেই।তুই তো আর খাবি না।প্রিয়াকে শুনিয়ে কথা গুলো বললাম। আমি জানি প্রিয়া আচার কত পছন্দ কর।আচার দেখে বেশিখন রাগ করে থাকতে পারবে না।(মনে মনে) নে নিশি।

নিশি :- দে।
কানিজ :- যেই নিশিকে আচারের পেকেট দিতে যাব। তখনি প্রিয়া এসে ছো মেরে আচার এর পেকেট নিয়ে নিলো।
প্রিয়া :- যেই শুনলাম কানিজ আমার জন্য তেঁতুল এর আচার এনেছে। সব রাগ উদাও হয়ে গেছে। আর মুখে পানি এসে পড়েছে। যখন দেখলাম কানিজ আমার সাদের আচার ওই পেতনিকে দিচ্ছে ছো মেরে নিয়ে নিলাম।মুখ ভেংচি কেটে হু আমার আচার আর একজনকে দেওয়া হচ্ছে। প্রিয়ার কান্ড দেখে সবাই হা হা হা করে হেঁসে দিলো।

কানিজ :- পাগলি একটা হাত দিয়ে প্রিয়ার মাথা নারিয়ে। এখন কি আমার মহারানীর রাগ ভেঙেছে? 
প্রিয়া :- হুম বলে সবাই একসাথে আবার হা হা হা করে হেঁসে দিলো।  সবাই একসাথে বসলাম।  

প্রিয়া :-ওয়া সাহেব কি গান না গায়লেন।এই গান যদি অন্য কোনো মেয়েকে বলে শুনাতেন সেতো ফিদা হয়ে যেতো।এমনে ও পুরা Campus এর মেয়ে পাগল,এই গান শুনেলে তো হা হা হা করে হেসে দিলাম। 

কানিজ :- অন্য মেয়েদের শুনিয়ে কি করব।যাকে শুনানো দরকার তাকে শুনিয়েছি।কিন্তু সে বুঝতে পারে নি।আমি তো তোর প্রেমে পাগল।(মনে মনে কথা গুলো বললাম।)
কানিজ অনেক মেয়ে দেখেছে but প্রিয়ার মতো দেখেনি।প্রিয়ার জন্য অন্য মতো অনুভতি কাজ করে।কানিজের জন্য Campus -এর সব মেয়ে পাগল শুধু প্রিয়া ছাড়া। এই campus এর main crush কানিজ।সেই প্রথম দিন প্রিয়াকে campus -এ দেখে কানিজ প্রেমে পড়েছিল। এখন প্রিয়ার best friend কানিজ। কানিজ সব সময় প্রিয়ার ছোট-বড় সব জিনিস খেয়াল রাখে।কিন্তু কোনো দিন ও প্রিয়াকে তার মনের কথা বলেনি।কারণ প্রিয়া কানিজকে শুধুই বন্ধু ভাবে।এবং প্রিয়া কোনো ছেলেদের প্রতি interest নেই,এসব প্রেমটেম like করে না।এ পর্যন্ত কত ছেলে প্রিয়াকে proposed করসে।কিন্তু প্রিয়া একটা ও accept করেনি। কানিজ প্রিয়াকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু বলতে সাহস পাইনা।যদি ভালোবাসার কথা বলার পর প্রিয়াকে ও বন্ধুত যদি হারিয়ে ফেলে।এই ভয়ে কানিজ আজ পর্যন্ত প্রিয়াকে মনের কথা বলেনি।

প্রিয়া :- ওই কই হারিয়ে গেলি। 
কানিজ :- কই হারাব এই খানে আছি। 
প্রিয়া :- তোদের Coxs Bazar থেকে আসতে এত দেরি হলো কেনো?  
রবীন+আকাশ+কানিজ:- তিনজন কান দরে একসাথে Sorry late করে আসার জন্য।

প্রিয়া+নিশি+আশা:-Its ok
রবীন :-আমার কোনো দোস নাই,Late করে আসার জন্য আকাশ ও কানিজ দাই,Picnic থেকে আসতে চাই না। তাই এতদিন লাগলো। 
আকাশ+কানিজ :- (দুইজন রেগে গিয়ে)কি আমাদের জন্য late হয়সে।(জুরে একসঙ্গে কথা গুলো বললো।) 
আকাশ :- নাকি তোর জন্য।
কানিজ :- তুই যে Coxs Bazar যেয়ে মেয়েদের সাথে flirting করতে বেস্ত ছিলি সেটা বল।  আকাশ :- পুরা picnic এ সারা খন মেয়েদের সাথে ছিলি।আমাদের সাথে কত খন time spent করছোস হারামী।

রবীন :-........
কানিজ :- আমাদের থাকার জন্য camp বানাতে হবে। তুই আমাদের help না করে।মেয়েদের help করতে চলে গেলেন।আবার shopping করতে যাবো সবার জন্য সেই খানে ও তুই।
তোর shopping list আমাদের দরিয়ে দিয়ে নিজে মেয়েদের সাথে ঘুরতে গেছস।পুরা picnic এ শেষ পর্যন্ত আকাশ আর আমি সব একা একা সব কাজ করছি।

রবীন :- আরে তোরা রেগে যাচ্ছোস কেনো।আমি তো এমনি মজা করে বলছি।(একটু ভয় পেয়ে)। আর এক কথা মেয়েরা তোদের সাথে ও কথা বলতে এসেছিল। But তোদের  interest নাই ওদের ওপর। তাতে আমার কি?আমি তো আর তাদের কমোল মনটা ভাঙ্গতে পারি না।

আকাশ+কানিজ :- (রেগে) না তুই কি ভাবে পারবি সালা flirting master. 

চলবে...........